চিঠিপত্র: প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ বিজয়ের

প্রতিবছরের ন্যায় ১১মার্চ’ (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজারের মহেশখালীর ঐতিহাসিক শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তায় শিব দর্শন ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিন আদিনাথ দর্শনের পাশাপাশি আদিনাথ মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। যার কারণে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন দর্শনার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকে।

তাই আমি মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হাই স্যারের নিকট আমার একটি আবেদন।

যা হলো, শ্রী শ্রী আদিনাথ মন্দিরে শিব চর্তুদর্শী উপলক্ষে শিব স্নান অনুষ্ঠানে লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বয়োবৃদ্ধ মানুষ আসেন। যাদের বয়স পঞ্চাশ ও ষাটোর্ধ। মন্দিরের এইদিন দুই থেকে তিন কিলোমিটার আগে যানজটের কারণে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যার কারণে বয়োবৃদ্ধের আসা-যাওয়ায় নানান সমস্যা হয়। তাই মন্দিরে পৌঁছার দুই থেকে তিন কিলোমিটার পথে অটোরিকশা ও টমটম বাড়িয়ে দিলে অনেক ভক্তবৃন্দ নির্বিঘ্নে যাওয়া-আসা করতে পারবেন।

এছাড়া প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, কক্সবাজার ৬নং ঘাট, গোরকঘাটা ঘাট,আদিনাথ ঘাট, ও চৌফলদন্ডী ঘাটে বাথরুম এবং যাত্রী উঠানামা করার সু ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা, তিনস্থরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, টিকিট কাউন্টার, সিসি ক্যামেরা এবং পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি বজায় রাখার অনুরোধ করছি।

তাছাড়া অনেক দর্শনার্থী রাতের বেলা বাঁকখালী দিয়ে যাতায়াত করবেন, তাই পানি পথে ইন্ডিকেটর বাতির ব্যবস্থা করলে বড় ধরণর দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।

উল্লেখ্য, আদিনাথ মন্দির বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালীর সিন্ধু নদীর তীরে মৈনাকপর্বতের চূড়ায় অবস্থিত। এখানে রয়েছে শ্রী শ্রী মহাদেবের এক অলৌকিক শিবলিঙ্গ, এর পাশাপাশি আছে নেপাল থেকে আনা শ্রী শ্রী অষ্টভূজার (দুর্গামূর্তি) শ্বেতপাথর’র মূর্তি। পাহাড়ের উপর দৃশ্যমান জোড়া পুকুর, এছাড়া আরও রয়েছে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য, যা একজন দর্শনার্থী ও ভ্রমণ প্রিয় মানুষকে দিতে পারে খুশির এক বিনোদন।

নিবেদক
বিজয় দে
গোরকঘাটা হাসপাতাল সড়ক, ০৪ ওয়ার্ড মহেশখালী পৌরসভা।
মহেশখালী, কক্সবাজার